Get it on Google Play
Download on the App Store

তখন নিশীথরাত্রি; গেলে ঘর হতে

তখন নিশীথরাত্রি; গেলে ঘর হতে
যে পথে চল নি কভু সে অজানা পথে।
যাবার বেলায় কোনো বলিলে না কথা,
লইয়া গেলে না কারো বিদায়বারতা।
সুপ্তিমগ্ন বিশ্ব-মাঝে বাহিরিলে একা—
অন্ধকারে খুঁজিলাম, না পেলেম দেখা।
মঙ্গলমুরতি সেই চিরপরিচিত
অগণ্য তারার মাঝে কোথা অন্তর্হিত!

গেলে যদি একেবারে গেলে রিক্ত হাতে?
এ ঘর হইতে কিছু নিলে না কি সাথে?
বিশ বৎসরের তব সুখদুঃখভার
ফেলে রেখে দিয়ে গেলে কোলেতে আমার!
প্রতি দিবসের প্রেমে কতদিন ধ’রে
যে ঘর বাঁধিলে তুমি সুমঙ্গল করে
পরিপূর্ণ করি তারে স্নেহের সঞ্চয়ে
আজ তুমি চলে গেলে কিছু নাহি লয়ে!

তোমার সংসার-মাঝে, হায়, তোমা-হীন
এখনো আসিবে কত সুদিন-দুর্দিন—



তখন এ শূন্য ঘরে চিরাভ্যাস-টানে
তোমারে খুঁজিতে এসে চাব কার পানে?
আজ শুধু এক প্রশ্ন মোর মনে জাগে—
হে কল্যাণী, গেলে যদি, গেলে মোর আগে,
মোর লাগি কোথাও কি দুটি স্নিগ্ধ করে
রাখিবে পাতিয়া শয্যা চিরসন্ধ্যা-তরে?

স্মরণ

Rabindranath Tagore
Chapters
আজিকে তুমি ঘুমাও, আমি জাগিয়া রব দুয়ারে ভালো তুমি বেসেছিলে এই শ্যাম ধরা আজি প্রভাতেও শ্রান্ত নয়নে আপনার মাঝে আমি করি অনুভব আমার ঘরেতে আর নাই সে যে নাই এ সংসারে একদিন নববধূবেশে এসো বসন্ত এসো আজ তুমি ঘরে যবে ছিলে মোরে ডেকেছিলে ঘরে জ্বালো ওগো জ্বালো ওগো সন্ধ্যাদীপ জ্বালো তখন নিশীথরাত্রি; গেলে ঘর হতে এসো বসন্ত এসো আজ তুমি তুমি মোর জীবনের মাঝে তোমার সকল কথা বল নাই, পার নি বলিতে দেখিলাম খানকয় পুরাতন চিঠি পাগল বসন্তদিন কতবার অতিথির বেশে প্রেম এসেছিল, চলে গেল সে যে খুলি দ্বার বজ্ৰ যথা বর্ষণেরে আনে অগ্রসরি বহুরে যা এক করে, বিচিত্রেরে করে যা সরস মিলন সম্পূর্ণ আজি হল তোমা-সনে মৃত্যুর নেপথ্য হতে আরবার এলে তুমি ফিরে যত দিন কাছে ছিলে, বলো, কী উপায়ে যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী বহুরে যা এক করে, বিচিত্রেরে করে যা সরস সংসার সাজায়ে তুমি আছিলে রমণী সে যখন বেঁচে ছিল গো তখন স্বল্প-আয়ু এ জীবনে যে-কয়টি আনন্দিত দিন হে লক্ষ্মী, তোমার আজি নাই অন্তঃপুর